ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার। ছবি: ডিএমপি নিউজ

রাজধানীর ভাষানটেক, শাহ আলী ও শাহবাগ থানা এলাকায় নাশকতার চেষ্টা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাষানটেক থানা-পুলিশের একটি দল জানতে পারে, পূর্ব ভাষানটেক এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচ তলায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ককটেল, পেট্রলবোমা, ইটপাটকেল ও লাঠি নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ভাষানটেক থানা-পুলিশের টিম সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আটজন দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাহফুজ হোসেন মুনা, মো. ইয়াছিন, মো. ফরহাদ, মো. মাহি, মো. আউলাদ হোসেন, মো. নাছিম, মো. আমজান আলী হোসেন ও মো. তানভীর হোসেন। ওই সময় তাঁদের হেফাজত থেকে নাশকতায় ব্যবহৃত পাঁচটি খালি জর্দার কৌটা, ১০০টি লোহার বেয়ারিংয়ের বল, ২৪টি কনডেন্সড মিল্কের খালি কৌটা, দুটি কালো স্কচ টেপ, একটি প্লাস, একটি কাঁচি, ৬৫ গ্রাম গুনার তার, ১০টি পুরাতন কাপড়ের টুকরা, দুই লিটার পেট্রল, ১২টি লাঠি ও ২৫০টি সিমেন্টের তৈরি ব্লক উদ্ধার করা হয়।

দিনের অপর এক ঘটনায় বুধবার রাতে শাহ আলী থানা এলাকার মিরপুর বেড়িবাঁধে পার্ক করা মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার হোতা রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জসিমকে শেওড়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে শাহ আলী থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে আড়াই লিটার কেরোসিন, ৫০০ গ্রাম পেট্রল, ৫০০ গ্রাম ফিনাইল জাতীয় তরল পদার্থ ও রূপনগর থানা বিএনপির একটি ব্যানার উদ্ধার করা হয়। তাঁর নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এ ছাড়া গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চার থেকে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তাঁরা হলেন নূর মোহাম্মদ শিকদার, মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী ওরফে শাহীন ও মো. রুবেল।