নারায়ণগঞ্জ শহরের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল যানজট। যানজটের দুর্ভোগে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু দুই দিন ধরে জেলা পুলিশের বিশেষ তৎপরতার কারণে যানজটমুক্ত হয়েছে শহরের চাষাঢ়া চত্বর। একই সাথে ফুটপাতে কোনো হকারকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। ফুটপাত হকারমুক্ত থাকায় নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছেন নগরবাসী। খবর নারায়ণগঞ্জ মেইলের।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট’। দীর্ঘদিন পর নারায়ণগঞ্জ শহর যানজটমুক্ত থাকায় পুলিশের প্রশংসা করছেন নগরবাসী। তবে ‘অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট’ কত দিন অব্যাহত থাকবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্র বলছে, বিগত দিনগুলোতেও শহরের ফুটপাত হকারমুক্ত করা, যানজট নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ, শহরে অবৈধ ইজিবাইক প্রবেশ নিষেধসহ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে সেই উদ্যোগগুলো বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কয়েক দিন পরই পুরোনো রূপে ফিরেছিল নারায়ণগঞ্জ শহর। তাই এবারও ‘অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট’-এর কারণে নগরবাসী যে স্বস্তিতে রয়েছেন, তা কত দিন ধরে রাখতে পারবে, সেই চ্যালেঞ্জে এখন জেলা পুলিশ।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ (ট্রাফিক) জায়েদ পারভেজ জানান, ‘অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট’ ঈদুল ফিতর পর্যন্ত চলবে। প্রয়োজনে ঈদের পরও তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হবে।

জানা গেছে, দুদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গবন্ধু সড়কে কোনো যানজট ছিল না। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ সব ধরনের অবৈধ যানবাহন শহরে প্রবেশ করেনি। শহরের প্রতিটি প্রবেশমুখেই দেখা গেছে পুলিশের কঠোর নজরদারি। প্রতিটি যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে সুন্দরভাবে চলাফেরা করেছে।

প্রতিদিনের যে নিত্যনৈমিত্তিক যানজট, তার ছিটেফোঁটাও কোথাও চোখে পড়েনি, চোখে পড়েনি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নছিমন-করিমন-ভটভটির মতো অবৈধ যানবাহন। শহরের চাষাঢ়া, খানপুর হাসপাতালের সামনে, ২ নং রেলগেট, কালীবাজার ব্যাংকের মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সারা দিনই ছিল ট্রাফিক পুলিশের ব্যস্ততা।

তবে শহর পুরোপুরিভাবে যানজটমুক্ত থাকলেও ফতুল্লার পঞ্চবটীর মোড়, বিসিক সড়ক, শিবু মার্কেটসহ শহরতলি সড়কগুলোতে এখনো যানজটমুক্ত হয়নি। জেলা কারাগার থেকে শিবু মার্কেট পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। তাই শহরের প্রধান সড়কের পাশাপাশি শহরে প্রবেশ সড়কগুলোও যানজটমুক্ত করতে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছে সচেতন মহল।