পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সরকারি অস্ত্র লুটের ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাতদলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি শটগান এবং দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম জানান, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধার করা শটগান ও গুলি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিরা হলেন শরীয়তপুরের জাজিরা থানা এলাকার আনোয়ার দেওয়ান (৪২), মো. দেলোয়ার খলিফা (৩৭), মতি খলিফা (৪২) ও মোসা. আলেয়া বেগম (৪৫); মাদারীপুরের মো. কালু হাওলাদার (৩৮), মো. ফরিদ হাওলাদার (৪৫) ও মো. ফারুক খান (২১); বাগেরহাটের শেখ আল মামুন (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৫৭) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম (২৭)।

পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর বড় বাজারে চারটি শটগান ও ২০টি গুলি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন বণিক সমিতি আনসার ক্যাম্পের চার সদস্য। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বড়বাজারের পেঁয়াজপট্টি এলাকায় ওই আনসার সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একদল ডাকাত। এ সময় তাঁদের হাত-পা বেঁধে দুটি শটগান ও ১০টি গুলি নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর নরসিংদী সদর থানায় মামলা করা হয়।

তিনি আরও জানান, তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসারের নেতৃত্বে নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি শটগান ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।