পুলিশি হেফাজতে চোর চক্রের ৬ সদস্য। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নড়াইলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চুরি যাওয়া ৩৯টি ল্যাপটপ, বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামালসহ আন্তজেলা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন জানান, গত বুধবার (২২ মার্চ) ও বৃহস্পতিবার নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধার করা ল্যাপটপ। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিরা হলেন গোপালগঞ্জের শহিদুল ইসলাম (৩০), রিজু সরদার (১৮), সোবহান মোল্যা (৩৮), মতিউর রহমান রাসেল (৩৫), আরমান মোল্যা (২০) ও মাগুরার নেপাল দাস (৩০)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৯টি ল্যাপটপ, ল্যাপটপের ১৪টি চার্জার, ৭২টি সিলিং ফ্যান, চারটি প্রজেক্টর, তিনটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, ১৬টি মিনি সাউন্ড বক্স, দুটি কম্পিউটার বক্স, তিনটি কিবোর্ড, দুটি মাউস, ১০টি মোবাইল ফোন, একটি স্লাইড রেঞ্জ, দুটি প্লাস, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার ও ৮১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

উদ্ধার করা মালামাল ও টাকা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন জানান, গত ২৬ জানুয়ারি স্কুল বন্ধ থাকায় লোহাগড়া উপজেলার বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭টি ল্যাপটপ ও ল্যাপটপের ১৫টি চার্জার চুরি হয়। এ ঘটনায় মামলা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মামলার তদন্ত চলাকালে ১৬ মার্চ সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ধরনের চুরি হয়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ মামলা করে। পরের দিন ১৭ মার্চ সদর উপজেলার চাকই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও হবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ধরনের চুরির ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার করা সিলিং ফ্যান। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

তিনি আরও জানান, চুরির ধরন একই হওয়ায় তদন্ত শুরু করে নড়াইল জেলা পুলিশ। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। এরপর নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার আসামিরা। তাঁদের মধ্যে আসামি নেপাল চোরাই মালামাল পরিবহনের কাজ করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ