পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামি নুর আলম। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া এক শিশুর জৈবিক পিতার পরিচয় শনাক্ত করার পর মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানাপুলিশ ওই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

জানা গেছে, গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ টায় সিংগাইর থানাধীন ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর বাজারের জনৈক মজিবরের ভবনের ছাদের উপর ছাগলের জন্য গাছের পাতা সংগ্রহ করার সময় ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনার ৬ মাস পর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মোহনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তভার থানার এসআই শেখ তারিকুল ইসলামের উপর অর্পণ করা হয়।

তিনি মামলাটি তদন্তকালে এজাহারনামীয় আসামি মোহানকে এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মো. মহিদুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেনে।

এদিকে ভিকটিম ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হন এবং গত বছরের ১ নভেম্বর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।

এ সন্তানের জৈবিক পিতা নির্ধারণের লক্ষ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গ্রেপ্তার আসামিদ্বয়সহ তদন্তে সন্দেহভাজন আরো দুই আসামি সিরাজুল ও নুর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অব বাংলাদেশ, সিআইডি, মালিবাগ, ঢাকা থেকে প্রাপ্ত ডিএনএ রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামী নুর আলম (৩৬) ভিকটিমের সন্তানের জৈবিক পিতা। রিপোর্ট পাওয়ার পর সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ তারিকুল ইসলামকে আসামি গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তার নেতৃত্বে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর বাজার থেকে আসামী নুর আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় সিংগাইর থানাপুলিশের একটি টিম।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর আলম ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।

আসামিকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।