দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন, নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন, হিজড়া ১২ হাজার ৬২৯ জন এবং ব্যালেন্স পপুলেশন ৮৫ হাজার ৯৫৭ জন।

রোববার (৯ এপ্রিল) জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ পিইসি (প্রাথমিক প্রতিবেদন) জরিপের আলোকে সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। খবর বাসসের।

সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি এবং মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বিশেষ অতিথি ছিলেন।

জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। চূড়ান্ত হিসেবে আরও ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৩১.৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।

বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ঢাকার গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন; সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা হলো ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন, যা দেশের মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ২৬.৮৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে, যা মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ৫.৪৯ শতাংশ।

প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং হিজড়ার সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৬২৯ জন।

বিবিএসের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হিজড়া জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তার এনইসি হিসাব করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া জনশুমারি ও গৃহগণনায় ১৭ হাজার ৫০৭টি থানার ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে। যাঁদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি তাঁদেরকে ব্যালেন্স পপুলেশন বলা হয়েছে।