দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শিগগির ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানাতে পারছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে রোগীর চাপ। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোকে কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিডিডিআরবি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। খবর বাসসের।

বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, অতিরিক্ত গরমে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো হলো অস্বস্তিবোধ, পানিশূন্যতা, প্রচন্ড মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাংসপেশিতে ব্যথা, খাবারে অরুচি, চামড়ায় ক্ষত, কিডনি ও ফুসফুসে সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা, হিট স্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্পস ইত্যাদি।

শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, শ্রমজীবী মানুষ ও স্থূলতার সমস্যা যাদের আছে, তারাই অতিরিক্ত গরমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এ ছাড়া যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষ করে যাঁদের হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁরাও ঝুঁকিতে থাকেন।

এই অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিডিডিআরবি হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে ও রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ অথবা কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখতে হবে। হালকা রঙের ঢিলেঢালা জামা, সম্ভব হলে সুতির জামা পরা, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান, সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া, বাসি বা খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা, দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকা, একাধিকবার পানির ঝাপটা নেওয়া বা গোসল করারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থা দুটি।

এ ছাড়া প্রস্রাবের রঙের দিকে নজর রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রস্রাব হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

গরমজনিত অসুস্থতার উপসর্গ দেখা দিলে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা নিতে স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।