পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার কাহালু থানা-পুলিশ। এ সময় ডাকাতি হওয়া কিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম জানান, বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন আবুল কাশেম মানিক (৩৫), রাকিব হোসেন (২৩), শাকিল হোসেন (২৩), আতিক রহমান প্রান্ত (২২) ও হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)। তাঁদের বাড়ি কাহালু থানা এলাকায়।

পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগী নারী (৩৯) নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ১২ জুলাই বোনের মেয়েকে (১৫) নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী মো. রব্বানী। রাত ২টার দিকে বগুড়ার সদরের বারোপুর এলাকায় তাঁদের বাসটি নষ্ট হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী পাইকড় ইউনিয়নের কুশলীহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে পূর্বপরিচয় ছিল রব্বানীর। তাই ভুক্তভোগীদের নিয়ে সেখানেই আশ্রয় নেন রব্বানী।

তিনি জানান, পরের দিন সকালে আসামি আবুল কাশেম এলাকায় রটিয়ে দেন, রাজ্জাক বাড়িতে খারাপ মেয়ে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীদের রংপুরের বাসে উঠিয়ে দিতে যান রাজ্জাক। কিন্তু পথিমধ্যে তাঁদের আটক করেন আবুক কাশেম ও তাঁর সহযোগীরা। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীদের মারধর করে ৭২ হাজার টাকা, কানের দুল ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেন তাঁরা। পরে ওই নারী ও তাঁর ভাগ্নিকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন আসামিরা। এ ঘটনায় কাহালু থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।

পুলিশ সুপার জানান, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর তিন আসামিকে রিমাণ্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।