ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা মেইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল ও চাঁদাবাজি বন্ধ, দুর্ঘটনা রোধে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বাজার বসতে না দেয়া এবং কঠোর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তির করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। ইতোমধ্যে যানবাহনের মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করেছি। তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি।
রিজিওনের ২২টি থানা-ফাঁড়ি এলাকায় ৬৪টি প্যাট্রল টিম থাকবে। পাশাপাশি জরুরি সেবায় থাকবে ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম। যেকোনো দুর্ঘটনা বা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পাঁচটি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স থাকছে দুর্ঘটনায় হতাহতের সেবার জন্য।’

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে যানবাহন না থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রহমত উল্লাহ বলেন, ‘এতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল করতে পারবে। দুটি গোয়েন্দা টিম কাজ করবে। একটি পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোল রুম থাকছে। পাশাপাশি থাকছে পাঁচটি সাব কন্ট্রোল রুম। ৮২১ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কে কোথাও কোনো সংগঠন কিংবা চক্র চাঁদাবাজি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি এবার ঈদে বিশেষ ইউনিফর্মে হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য মাঠে থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘একটি স্পেশাল টিমসহ মহাসড়কে শৃঙ্খলা তদারক করব আমি। অবশ্য সবার আগে মালিক, চালক ও যাত্রীদের পরিবহন আইন মানতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামানো যাবে না। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে এবারও দক্ষিণের ঈদযাত্রা হবে নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক।’