সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক । ছবি-সংগৃহীত।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজধানী ঢাকাকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিনতাইকারীর হামলায় আহত ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সহকারী প্রযোজক রাকিবুল হাসানকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। খবর ঢাকা পোস্টের।

ঢাকায় ছিনতাইকারীর উৎপাত বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তো গ্রেপ্তার করছি। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডারের মধ্যে পুলিশ ২০ নাম্বারে। বাকি ১৯টা বাদ দিয়ে ২০ নম্বরে থাকা পুলিশ ধরে টানাটানি করলে তো হবে না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের বন্ধে রাজধানীতে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঈদের আগেই অনেক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। কিন্তু এরপরও দুঃখজনকভাবে ঘটনাগুলো ঘটেছে। পুলিশ এসব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। রাজধানীকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। এর জন্য আমাদের যা করা লাগে, যত পরিশ্রম করা লাগে, আমরা করব।

তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় আমরা সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক রাকিবুল হাসানকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি, মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আরেক আসামি নজরদারিতে আছে, তাকেও যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, সাংবাদিক রাকিবুল হাসানের ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজন পাঠাও চালক ও আরেকজন ইলেকট্রিশিয়ান। তারা নিজেদের পেশার পাশাপাশি ছিনতাইয়ে জড়িত।

পুলিশের ডেটাবেজ অনুযায়ী ঢাকায় প্রায় ৬ হাজার ছিনতাইকারী আছে, ডেটাবেজে তথ্য থাকলেও ছিনতাইকারীরা কেন বারবার ফিরে আসে- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেকে গ্রেপ্তার হয়েছে বলেই আমাদের ডেটাবেজে নাম আছে। আমরা প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। এরপর আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা জামিনে বের হয়ে আসেন। এখন আইন সংশোধনের প্রয়োজন আছে কি না বা করণীয় বিষয়ে অপরাধবিজ্ঞানী বা সমাজবিজ্ঞানীরা বলতে পারবেন। আমাদের কাজ গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা।

ছিনতাইকারীরা জামিনে বের হয়ে আবার একই কাজ করছে, এখানে আইনের দুর্বলতা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের ফাঁকফোকর আছে কি না অপরাধবিজ্ঞানীরা বলতে পারবেন, আপনারা এসব বিষয়ে তুলে ধরেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না। কারণ, আইন অনুযায়ী আমার যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, আমি তা প্রয়োগ করছি।