ঢাকা জেলা পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ১২ ডাকাত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৪০ ভরি স্বর্ণ ও ৪০০ ভরি রুপা ডাকাতির ঘটনার মাস্টার মাইন্ড টাকলা সাইফুলসহ চক্রের ১২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। টানা ৭ দিন রাজধানী ও এর আশপাশের জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান (পিপিএম-বার)। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ওয়াকিটকিসহ লুট হওয়া ১৭৭ ভরি স্বর্ণ, ৩৮৬ ভরি রুপা, একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস, ২টি অটোরিকশা ও নগদ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকা জেলা পুলিশের প্রেসবিজ্ঞপিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেসবিজ্ঞপি সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল সকালে ঢাকার নবাবগঞ্জ পোস্ট অফিসের সামনে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে। এই মাইক্রোবাস থেকে নেমে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী কৃষ্ণ সাহাকে তুলে নেয় ডাকাতরা। পরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি নির্জন খাদের কাছে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তার কাছে থাকা ২৪০ ভরি স্বর্ণ ও ৪০০ ভরি রুপা নিয়ে তাকে সেখানে ফেলে যায় চক্রটি।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুট হওয়া ১৭৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩৮৬ ভরি রুপা উদ্ধার। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

এমন অভিযোগ পেয়ে ঢাকার জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের (পিপিএম-বার) নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস অ্যান্ড ট্রাফিক-দক্ষিণ) আমীনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবীরের (বিপিএম) তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডাকাতদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উদ্ধার। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ (পিপিএম) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আশফাক রাজীব হাসান ও ইন্সপেক্টর কাজী রমজানুল হকসহ সঙ্গীয় অফিসার নিয়ে এ ঘটনার ৭ দিনের মধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত চক্রের গ্যাং লিডার মোক্তারসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।