বগুড়ায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার ৩ আসামি।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চাচাতো ভাই-ভাতিজার হাতে একজন কৃষক খুনের ঘটনায় সিআইডি পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

জানা যায়, নন্দীগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে চাচাতো ভাই ও ভাতিজার হামলায় ৮ এপ্রিল বিকেল আনুমানিক ৪টার সময় কৃষক মানিক শাহ (৪০) খুন হন।

খুনের ঘটনা জানাজানির পর আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তখন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে।

বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

এরপর সিআইডির একটি চৌকস টিম দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯ এপ্রিল রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. জাহাঙ্গীর শাহ (৫০), মো. রুহুল শাহকে (২২) ও মো. মোতালেব হোসেনকে (৩৫) টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, আসামিদের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে মানিক শাহের দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাচাতো ভাই মানিক শাহ (৪০) তাঁর বাড়ির সীমানায় গাছ লাগাতে যান। গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এর একপর্যায়ে আসামি জাহাঙ্গীর শাহের নেতৃত্বে তাঁর ছেলে রুহুল আমিন ও শ্যালক মো. মোতালেব হোসেনসহ অন্যরা মানিক শাহকে কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটা করেন। রুহুল শাহ লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মৃতের ভাই মো. জয়নাল আবেদীন (৪৫) এজাহারনামীয় ৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম থানায় ৯ এপ্রিল মামলা হয়।