পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পাবনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে আন্তজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতিতে ব্যবহৃত ট্রাক এবং লুণ্ঠিত ২৯ বস্তা চাল, ২০০ লিটার মবিল, পাঁচটি টায়ার, ২৩টি গ্যাস সিলিন্ডার ও ২ লাখ ১০ হাজার টাকা।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন পাবনার আমিনপুরের মো. সেলিম শেখ (৪৯), লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের রিয়াজ ওরফে মফু (৩১), নোয়াখালীর চাটখিলের মো. জাফর (২৯), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মো. নুর সায়েদ খন্দকার ওরফে শাহেদ (৫৭), বরিশালের বাকেরগঞ্জের মো. সোহেল (২৯), ঝালকাঠির রাজাপুরের মো. মনির ব্যাপারী (৩২), সিরাজগঞ্জের মো. হাফিজুল ওরফে আকাশ (২৯), মো. সালাউদ্দিন ওরফে সম্রাট (৩৮) ও মো. রুবেল শেখ (৩৪) এবং নেত্রকোনার কলমাকান্দার মো. ইয়াসিন আরাফাত (৪২)। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, ৯ নভেম্বর রাতে পাবনার আমিনপুর থানাধীন খাস আমিনপুর এলাকায় মো. ফরমান সরদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁর দোকানে ডাকাতি করে একদল দুর্বৃত্ত। পরের দিন আমিনপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। তদন্তের একপর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশি হেফাজতে উদ্ধার করা মালপত্র। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, দুটি ট্রাকে চড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করতেন আসামিরা। দিনের বেলায় ডাকাতির লক্ষ্যবস্তু ঠিক করতেন। এরপর সুযোগ বুঝে করতেন ডাকাতি। লুণ্ঠিত মালপত্র বিক্রির জন্য জেলায় জেলায় তাঁদের লোক আছে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল চক্রটি।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।