ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

বিশেষ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ। খবর ডিএমপি নিউজের।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. খালেদ হাওলাদার ওরফে সাগর আহম্মেদ ও মো. জিসান আহম্মেদ ওরফে সম্রাট। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে চোরাই ১৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর ডেমরা থানা ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।

আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

ডিবি প্রধান বলেন, ১৮ অক্টোবর তেজগাঁও থানার ফার্মগেট এলাকার আল রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে ভুক্তভোগী মো. মোর্শেদের মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগকে।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, মামলাটি ডিবির সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ শুরু করে একটি চৌকস টিম। প্রথমে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়, পরে রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. খালেদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. জিসান আহম্মেদকে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে ডিবি প্রধান বলেন, এ চক্রের মো. খালেদ হাওলাদার মোটরসাইকেল চুরি করার জন্য টার্গেট করা মোটরসাইকেলের আশপাশে গিয়ে তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। পরবর্তী সময়ে সুযোগ বুঝে তাদের নিজেদের তৈরি করা চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, মো. খালেদ হাওলাদার তার সহযোগীসহ বিগত ৮ বছরে ৫০০-৭০০ মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে চুরি করে চাঁদপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করতেন মর্মে স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, এ ছাড়া যারা চুরি করা এবং কম টাকায় এসব চোরাই মোটরসাইকেল কিনে ব্যবহার করেন, তারাও একই অপরাধে অপরাধী।

তিনি আরও বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৫টি মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের যে সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ওই চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে তাদের পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আকরামুল হোসেনের দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহানের তত্ত্বাবধানে, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।