উদ্ধার করা ল্যাপটপ প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ভুলবশত ট্রেনে ফেলে যাওয়া ল্যাপটপ এবং ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিল খুলনা রেলওয়ে পুলিশ।

উদ্ধার করা টাকা ও ল্যাপটপ গতকাল শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত নয়টার দিকে প্রকৃত মালিক মো. রেজাউল করিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খবর ঢাকা পোস্টের।

খুলনা রেলওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহমেদ জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে আসছিলেন মো. রেজাউল করিম। এ সময় তাঁর কাছে থাকা একটি ব্যাগে ল্যাপটপ ও ৫০ হাজার টাকা ছিল। ট্রেন চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে এসে পৌঁছালে তিনি দ্রুত নেমে যান। তবে ভুলবশত ব্যাগটি ফেলে চলে যান। যখন মনে পড়ে, ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে অনেক দূর চলে আসে। পরে বিষয়টি রেলওয়ে থানাকে জানানো হলে ট্রেনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এএসআই আবুল কালাম আজাদ দ্রুত ব্যাগটি উদ্ধার করেন এবং মালামাল হেফাজতে নেন। একই সঙ্গে তাঁকে ও খুলনা রেলওয়ে পুলিশ সুপারকে মালামাল হেফাজতের বিষয়টি জানান।

ওসি আরও জানান, পরে ব্যাগে থাকা ল্যাপটপ ও ৫০ হাজার টাকা উদ্ধারের বিষয়টি মো. রেজাউল করিমকে জানানো হয়। তিনি খুলনা রেলওয়ে থানায় এলে রাত নয়টার দিকে ল্যাপটপ ও ৫০ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ব্যাগটি পেয়ে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। পরে তিনি তাঁর মালামাল নিয়ে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেন।

রেলওয়ে থানা-পুলিশের এএসআই আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেজাউল করিম নামের এক যাত্রী ভুলবশত চিত্রা এক্সপ্রেসের ‘ঝ’ বগির ২৪-২৫ নম্বর সিটে একটি কালো ব্যাগ ফেলে রেখে যান। সেই ব্যাগে ল্যাপটপ ও ৫০ হাজার টাকা ছিল। তিনি স্টেশনে নেমে বাড়ি চলে যান। হঠাৎ করে ব্যাগের কথা মনে পড়তেই হতাশ হয়ে যান। বাড়ি থেকে রওনা হয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে যান। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। ওই কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ততক্ষণে আমি ট্রেনে খুলনা স্টেশনে চলে আসি। যাত্রী নামা শুরুও হয়েছিল। দ্রুত আমি ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে গিয়ে ২৪-২৫ নম্বর সিটে যাই এবং ব্যাগটি দুজন যাত্রীর সামনে উদ্ধার করে হেফাজতে নিই। ব্যাগে একটি ল্যাপটপ ও ৫০ হাজার টাকা ছিল। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই। আজ প্রকৃত মালিককে তাঁর মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।