জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। আর শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খবর ঢাকা পোস্টের।

সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। থানা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। 

শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী বিভাগ হয়েছে উত্তরা বিভাগ। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে প্রথম হয়েছেন দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক। এ ছাড়া অপারেশন্স-এ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার পরিদর্শক উদয় কুমার মণ্ডল।

শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার এসআই নুর উদ্দীন-১ ও পল্লবী থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম।

শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে মতিঝিল থানার এএসআই হেলাল উদ্দিন ও পল্লবী থানার এএসআই হরিদাস রায়। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এসআই আব্দুল লতিফ মিয়া।

বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই নুর উদ্দীন-১। মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই তারিক উর রহমান শুভ এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. খোরশেদ আলম।

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান।

অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাত হোসেন সুমা। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান।

চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাত হোসেন সুমা। অজ্ঞান/মলম পার্টি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো.শামসুল ইসলাম।

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিকুল ইসলাম মাসুদ। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন একই জোনের টিআই হোসেন জাকারিয়া মেনন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হয়েছেন যৌথভাবে মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আব্দুল কাদের ও রমনা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান।

এ ছাড়া ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১৬টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার ১৪৫ জন অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।