জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। খবর বাসসের।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে জাতির পিতার পরিবারের সদস্য এবং অন্য শহীদদের কবরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে।

এদিন সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার ছাড়াও সমাধি কমপ্লেক্সে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে।

শোক দিবসে সারা দেশের মসজিদগুলোতে জোহরের নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর পোস্টার প্রকাশ করেছে। সারা দেশে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে। তথ্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ সচিবালয়ে সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। বিভাগীয় পর্যায়েও আঞ্চলিক তথ্য অফিস আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।

সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।

জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে। অনুষ্ঠানগুলোতে সরকারি কর্মকর্তাগণকে আবশ্যিকভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ শোক দিবসের নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।

ধানমন্ডি, বনানী ও টুঙ্গিপাড়ার অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও অনুষ্ঠানগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে।