জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ২৫ মে। এ উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নজরুল জন্মবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিদ্রোহী’র শতবর্ষ’। খবর বাসসের।

কর্মসূচি অনুযায়ী ২৫ মে (বুধবার) সকাল সাড়ে ৬টায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে নজরুল স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লায়।

কুমিল্লার বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে (টাউন হল) বেলা ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। মাননীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন মাননীয় সংসদ সদস্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি), কুমিল্লার মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কবিপৌত্রী খিলখিল কাজী। স্বাগত বক্তৃতা করবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। স্মারক বক্তৃতা করবেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও নজরুল গবেষক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

ঢাকাসহ জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার দৌলতপুর, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা এবং চট্টগ্রামে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে নজরুল মেলা, নজরুলবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

২৫ মে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক থাকবেন কবি কামাল চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করেছে। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটসহ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তর ও সংস্থাসমূহ এ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করবে।

নজরুল জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাতীয় পর্যায়ের মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এসব স্থানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া কবির স্মৃতিবিজড়িত জেলাগুলোসহ সব জেলায় জাতীয় কবির ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন এবং বিভিন্ন সড়কে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন এবং আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে।