জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম।

তিনি বলেছেন, ঈদের জামাতে কোনো হুমকি নেই, তবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে অতীতের হামলার বিষয়টি মাথায় নিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। খবর নিউজবাংলার।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সারা দেশে কোটি মুসলমান ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ঢাকায় অসংখ্য জায়গায় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যতম বৃহৎ জাতীয় ঈদগাহ মাঠ, যেখানে ঢাকার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতিসহ রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নামাজ পড়তে আসবেন। প্রায় ৩৫ হাজার লোক একসঙ্গে এখানে নামাজ পড়বেন। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ ঢাকার অনেক জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’

খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘প্রতিটি ঈদের জামাতে আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মুসল্লিরা কোনো শঙ্কা ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। এটা তাদেরকে নিশ্চিন্ত করছি।’

জাতীয় ঈদগাহ মাঠে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিটিটিসির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো মাঠ সুইপিং করা হয়েছে, যা ঈদের সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যরা পাহারায় থাকবে, যাতে ঈদগাহ মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। ঈদের দিন সিটিটিসির সোয়াট টিম আশপাশে থাকবে, যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করতে পারে।’