আরব সাগরে ইরানের পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার ট্রলার জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে জলযানটি ও এর ২৩ পাকিস্তানি ক্রুকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

দীর্ঘ ১২ ঘণ্টাব্যাপী জলদস্যুবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাহিনীটি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের

বিবৃতিতে ভারতের নৌবাহিনী বলেছে, “২৮ মার্চ রাতে ইরানি মাছ ধরা ট্রলার ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’-তে সম্ভাব্য জলদস্যু আক্রমণের খবর পেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি জাহাজকে ছিনতাই হওয়া জলযানটিকে আটকানোর জন্য পাঠানো হয়। আরব সাগরে নিরাপত্তা অভিযান চালাতে এ দুটি জাহাজ আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল।

“প্রমিত পরিচালনা মান বজায় রেখে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তীব্র দমনমূলক কৌশলগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করে ছিনতাই হওয়া মাছ ধরা জলযানটিতে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয়। ট্রলারটির ক্রু ২৩ পাকিস্তানি নাগরিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।”

এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর টিমগুলো ট্রলারটিতে নিবিড় তল্লাশি চালায় এবং এটি সাগরে চলাচল ও মাছ ধরা কার্যক্রম চালানোর মতো উপযুক্ত আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে বলে জানিয়েছে তারা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৯ মার্চ ভোররাতের দিকে বিপদের বার্তা পেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুমেধা মাছ ধরা ট্রলার আল-কাম্বারের পিছু নেয়, পরে ভারতীয় নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ আইএনএস ত্রিশূল অভিযানে যোগ দেয়।

ইয়েমেনের ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ সোকোতা থেকে প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে থাকা অবস্থায় আল-কাম্বারে নয়জন সশস্ত্র জলদস্যু উঠেছিল বলে জানা গেছে।

চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারতীয় নৌবাহিনী অভিযান চালিয়ে রুয়েন নামের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলমুক্ত করেছিল। তখন জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিল আর ভারতীয় বাহিনী এর ১৭ জন নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল।