মাতৃস্নেহে দেশ চালালে জনগণ অবশ্যই সমর্থন দেবে বলে মনে করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এভাবেই দেশবাসীর সমর্থন অর্জন করেছি। জনগণ বুঝতে পেরেছে আমি যদি থাকি, তাদের উন্নয়ন হবেই।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আয়োজিত ‘রিডিফাইনিং দ্য ফিউচার ফর উইমেন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন তার মতো মাতৃস্নেহে দেশ পরিচালিত হয়, তখন জনগণ অবশ্যই সেরকম একজন নেতাকেই সমর্থন করবে।
‘একটি বিষয় বোঝা উচিত যে নারীরা শুধু নারী নয়, নারীরা মা-ও। তাই নেতা যদি মাতৃস্নেহে দেশ পরিচালনা করেন, অবশ্যই জনগণ সমর্থন করবে।’
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সংসদের কথা উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংসদ উপনেতা নারী।’
তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর প্রায় ২১ বছর সামরিক শাসকরা দেশ শাসন করেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান জানন, ১৯৯৬ সালে যখন তিনি সরকার গঠন করেন তখন দেখেন, নারীদের কোথাও কোনো স্থান নেই। এরপর তিনি নারীদের জন্য কিছু উদ্যোগ নেন, যার মধ্যে রয়েছে- স্নাতক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করা, বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং অন্যান্য জাতীয় পরিমন্ডলের উচ্চ পদে তাদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করা।
আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা ড. আনোয়ার বিন মোহাম্মদ গারগাশ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-ইওয়ালাসহ অনেকে।
