রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি দমন এবং জনগণের সেবা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলব, আপনারা দেশের মানুষের সেবা করুন। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, এটা হচ্ছে পুলিশের মূল মন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে—এটাই আমাদের কাম্য। আজ দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি সেই আস্থা রাখতে পারছে। কাজেই আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের সেবা করবেন—এটাই আমরা চাই।’

কেক কেটে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’-এর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’। আগামী ৩ মার্চ শেষ হবে পুলিশ সপ্তাহ।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।’
এক পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, তখনই আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় চলে আসছে এবং এটাকেই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার। সে কারণেই আমি মনে করি—আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সততা, পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম এবং মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে জনগণের সেবা করবে। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সেভাবেই গড়ে তুলছি।

১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়, সেই সময় পুলিশ জনগণের পাশে থাকে। আবার কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ও পুলিশ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সহযোগিতা করে। আমরা সব সময় চেয়েছি পুলিশ বাহিনীকে সেভাবেই গড়ে তুলতে।

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) দৃষ্টিনন্দন স্টল পরিদর্শন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দেখেছি কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা হয় এবং যানবাহনসহ বিভিন্ন অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। চলন্ত বাস ও ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তারা (জামায়াত-বিএনপি) যে শুধু এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা-ই নয়, বাধা দিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। নির্মমভাবে পিটিয়ে নিরীহ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। এমনকি রাজারবাগে ঢুকে ককটেল মারা, হাসপাতালে আক্রমণ করা, অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি পুড়িয়ে ফেলাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ওই জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা করেছে, তাদের নেতারা করেছে। তবে আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছে। সে জন্য আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, জনগণের জানমাল ও শান্তি রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা তাঁদের জীবন দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন এবং এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম রুখে দিয়েছেন। জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় শান্তিরক্ষায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।

‘তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা এবং পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আজ পুলিশ বাহিনী অনেক বেশি দক্ষ’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা যখন নতুন ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন কিছু দেখেছি, তখন পুলিশকেও বহুমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে উপযুক্ত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। ২০০১ সালে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের ব্যাপক উত্থানে জনজীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। আমরা ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গঠন করেছি।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও দমনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, এমআরটি পুলিশ গঠন করেছে। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশের দুটি এবং র‌্যাবের একটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যাতে দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ হয় এবং মানুষ ন্যায়বিচার পায়, সে জন্য বাংলাদেশ পুলিশে এরই মধ্যে ডিএনএ ল্যাব, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব, অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এএফআইএস) এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। কয়েকটি বিভাগীয় শহরে এসব ল্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে আরও বলেন, সাইবার অপরাধ এবং এর সঙ্গে যুক্ত ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, মানি লন্ডারিং ইত্যাদি অপরাধ মোকাবেলায় ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার স্থাপন’ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিএমপির সিটিটিসিসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটও সাইবার অপরাধ দমনে কাজ করছে। পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ সাইবার পুলিশ ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। ১০ তলা ভবন করে রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পুলিশের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যানবাহন সরবরাহ, পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ এভিয়েশন ইউনিট গঠনের চলমান প্রক্রিয়ায় অংশ হিসেবে শিগগির দুটি হেলিকপ্টার যুক্ত করা, বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক সেবা ও মোবাইল অ্যাপস প্রবর্তন, অনলাইন জিডি, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য ই-সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে পুলিশ ও সাধারণ জনগণ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছেন এবং পুলিশে শতভাগ রেশন চালু করা এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের আজীবন রেশন প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এসব সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী আরও দক্ষ, পেশাদার, যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের একটি স্মার্ট সংস্থা হিসেবে গড়ে উঠবে। সে দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। আর সে কারণেই আপনাদের প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি এবং আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আজ আমি একটা কথাই বলতে চাই, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করব। এটাই আমাদের লক্ষ্য, আর সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিশেষ অবদান রাখবেন।

পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী দিনে যা হলো

এদিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।

সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় জীবন উৎসর্গকারী ৯ জন পুলিশের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অসমসাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পদকে ভূষিত করা হয়।

বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা, এই চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যাঁরা এ পদকে ভূষিত হন, তাঁদের নামের শেষে বিপিএম-পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়।

এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের মাননীয় সদস্য, মাননীয় সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন পত্রিকা বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪-এর উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দের উদ্দেশে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আইজিপির সম্মেলন, আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি।

এ ছাড়া পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধিবেশনে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে।

রাজারবাগে পুনাক স্টল পরিদর্শন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) দৃষ্টিনন্দন স্টল পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে বার্ষিক পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন ও কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ শেষে তিনি স্টল পরিদর্শন করেন।

এ সময় পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরীসহ পুনাকের নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুনাক স্টল পরিদর্শন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিশেষ কল্যাণ সভায় অংশ নেন। কল্যাণ সভায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যগণ তাঁদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবার বক্তব্য শোনেন এবং সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।