আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সের শেষ দিনে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন। ছবি: পুলিশ নিউজ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

আইজিপি বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সের শেষ দিনে সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন।

কনফারেন্সে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান বিপিএম (বার), ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম, র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)সহ অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার বিপিএম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএম, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম নিজ নিজ দপ্তর এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ল্যান্ড অ্যান্ড এস্টেট, ফাইন্যান্স, অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন, অ্যাডমিন ও লজিস্টিকস শাখার সংশ্লিষ্ট ডিআইজিরা স্ব স্ব শাখার কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

আইজিপি বলেন, ‘আগামীতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নানা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। আইনশৃঙ্খলার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এ জন্য পুলিশের প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, প্রশিক্ষণ এবং পুলিশ সদস্যদের দৃঢ় মনোবল রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করা প্রয়োজন, পুলিশ তাই করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যেকোনো চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

পুলিশপ্রধান বলেন, গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি গুজব রোধে সাইবার মনিটরিং বাড়াতে হবে।

আইজিপি বলেন, ‘ফোর্সের ওয়েলফেয়ার নিশ্চিত করতে হবে। ফোর্সের ওয়েলফেয়ার দেখতে গিয়ে শৃঙ্খলার সাথে আপস করা যাবে না।’

কোনো পুলিশ সদস্যের বিচ্যুত আচরণের দায় বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা এবং নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।’

তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখাসহ অন্যান্য সার্ভিস ও বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।