বগুড়া সদর থানার অভিযানে গ্রেপ্তার তিন আসামি ও উদ্ধার করা অস্ত্র। কোলাজ: পুলিশ নিউজ

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের অভিযানে সাবেক কাউন্সিলরের ছেলে ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি ঘটনায় সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানায় ৭ ডিসেম্বর হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার রমনা মডেল থানাধীন কাকরাইল মসজিদে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. সাকিব শেখ (১৯), মো. সানমুন শেখ (২৩) ও মো. হিমেল শেখকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়, যাঁদের সবার বাড়ি বগুড়া সদরের নিশিন্দারায়।
পুলিশ জানায়, আসামিরা হত্যার পর আত্মগোপন করতে প্রথমে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে যান। হিলি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সুরাহা করতে না পেরে তাঁরা পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ঢাকা মহানগরের কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, মসজিদে আগে থেকে অবস্থানরত তাবলিগ জামাতের মুসল্লি সেজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আত্মগোপন করবেন।

পুলিশ আরও জানায়, বগুড়া সদর থানা বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে দুটি লোহার হাঁসুয়া ও তিনটি এসএস পাইপ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, আরিফের ভাগনে মুহিমের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে গত ৭ অক্টোবর আসামি সাকিবকে চাকু মেরে গুরুতর রক্তাক্ত করেন আরিফ। এ ঘটনায় সাকিবের বাবা মিলু বাদী হয়ে আরিফকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় ১৮ দিন জেলহাজতে থাকার পর আরিফ জামিনে মুক্ত হলে তাঁকে দেখতে পেয়ে আসামিরা হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা ৫ ডিসেম্বর রাতে বগুড়া সদর থানাধীন সুলতানগঞ্জপাড়ার স্বদেশ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামান্য উত্তরে আরজু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে দেশীয় অস্ত্র লোহার হাঁসুয়া, এসএস পাইপ ও লোহার রড দিয়ে হত্যা করেন।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হয়। আসামি সানমুন শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।