ছদ্মবেশী ৯ নারী পকেটমারসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ডিএমপি নিউজ

রাজধানীর লালবাগ ও শাহবাগ এলাকা থেকে ছদ্মবেশী ৯ নারী পকেটমার ও তাঁদের ৭ মহাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।

ওই সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন মডেলের ৪০টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাহাবুব হোসেন, মোক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, বর্ষা আক্তার ওরফে মীম, সুমি আক্তার প্রিয়া, শাবনূর, আলেয়া ওরফে আলো, সাথী আক্তার, ছৈয়াদ হালদার, আশরাফ ঢালী, জাকির হোসেন, ছকিনা বেগম, সুজনা আক্তার ওরফে সুজিনা আক্তার ওরফে রুশকিনা, তানিয়া খানম ও তাসলিমা খাতুন।

বুধবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম-সেবা।

উপকমিশনার বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন থেকে অভিযোগ পাচ্ছিলাম নিউ মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট ও ইডেন কলেজ, বদরুন্নেছা কলেজ এবং আজিমপুরের ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হচ্ছে। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার আজিমপুর ও গুলিস্তান এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।’

তিনি বলেন, তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাঁরা ঢাকা মহানগরীর নিউ মার্কেট, আজিমপুর, গুলিস্তান, গোলাপশাহ মাজার, ফুলবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেট ও হাসপাতালে বিশেষ কৌশলে নারীদের ভ্যানেটি ব্যাগ এবং পুরুষদের শার্ট-প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা চুরি করত।

চুরির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, চক্রের নারী সদস্যদের সঙ্গে কখনও কখনও ছোট শিশু থাকে। তাঁরা বোরকা পরা অবস্থায় শিশু কোলে নিয়ে স্নেহময়ী মায়ের ছদ্মবেশে থাকেন। ফলে তাঁদের ব্যাপারে কারও সন্দেহ জাগে না। তাঁরা একসঙ্গে দুইজন থাকেন। একজন টার্গেটকৃত নারীকে চাপ দেন। অন্যজন কৌশলে চোখের পলকে ভ্যানিটি ব্যাগের জিপার খুলে মুঠোফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন।

সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আনা-নেওয়া ও বিপণি বিতানে যাওয়ার সময় কিংবা গণপরিবহনে ওঠার সময় নিজের মূল্যবান জিনিস, মোবাইল ও টাকার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।

নিজের মূল্যবান জিনিস, মোবাইল কখনও চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে জিডি বা মামলা করার পরামর্শ দেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। শাহবাগ থানা ও লালবাগ থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।