চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়া গ্রামে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে একটি ডুবন্ত শিশুকে উদ্ধার করেছেন পুলিশের একজন কনস্টেবল।

দৌলতদিয়া গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান(৯) নদীর পাড়ে খেলা করার সময় অসাবধানতাবশতঃ মাথাভাঙ্গা নদীতে পড়ে যায়। এ সময় কাছের পুলিশ পার্কে কর্মরত কনস্টেবল তুষার ঘোষ দেখতে পান একটি শিশু মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে যাচ্ছে এবং বাঁচার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সাঁতরে মাঝ নদী থেকে ডুবন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তিনি দেখতে পান শিশুটির হাত-পায়ের সাথে মাছ শিকার করার বড়শি ও সুতা জড়িয়ে আছে। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন তুষার ঘোষ।

ছেলেকে ফিরে পেয়ে তার মা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘সময়মতো যদি পুলিশ সদস্য নিজের জীবন বাঁজি রেখে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার না করতেন, তাহলে তাকে হয়তো বাঁচানো যেত না।’

পুলিশ সদস্য তুষার ঘোষসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সকল সদস্যদের প্রতি মেহেদীর মা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।