রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় চোরাই স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন শিশু, অপরজন হলেন মাহাবুবুর রহমান জনি।

শিশুটির বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া উত্তরপাড়ায়। জনির বাড়ি একই থানার বসুয়া গ্রামে।
আরএমপি জানায়, রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া গ্রামের মো. তাইবুর রহমানের স্ত্রী গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তিনি আহত স্ত্রীকে ওই দিন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে রাত ৯টায় তাঁর বাসায় তালা দিয়ে লক্ষ্মীপুরে যান। সেখান থেকে ওষুধ কিনে তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় বাসায় এসে দেখেন, তাঁর ঘরের দরজা খোলা ও বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো এবং আলমারিও খোলা রয়েছে।

ওই সময় তিনি লক্ষ করেন, আলমারি থেকে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ ও রুপার অলংকার এবং আড়াই লাখ টাকা চুরি হয়েছে। তাইবুর রহমান এ বিষয়ে রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপির বোয়ালিয়া বিভাগের উপকমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. হাফিজুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি টিম চোরাই মালপত্র উদ্ধারসহ আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।

পরবর্তী সময়ে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই কাজল কুমার নন্দী, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রাজিবুল করিম ও তাঁর টিম শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে।

সিয়ামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর আসামি জনিকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাঁদের কাছ থেকে তিন ভরি ছয় আনা স্বর্ণ ও পাঁচ ভরি তিন আনা রুপার অলংকার উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। টাকাসহ অন্যান্য মালপত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।