চট্টগ্রামে ক্রেতা সেজে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি। ছবি: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ

মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য অনলাইনে পোস্ট দিয়েছিলেন বিক্রেতা। এরপর ক্রেতা সেজে বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে আলাপচারিতার মাধ্যমে বিক্রেতার আস্থা অর্জন করেন মোটরসাইকেল চোর চক্রের এক সদস্য। পরে কিনতে এসে বাইক চালিয়ে দেখার কথা বলে উধাও হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম নগরী থেকে এভাবে চুরি করা একটি মোটরসাইকেল ১৪ দিন পর মিরসরাই থেকে উদ্ধার করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ।
একই কৌশলে চক্রটি আগে ফেনী থেকেও একটি মোটরসাইকেল চুরি করে বলে জানান চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান।

গ্রেপ্তার দু্ই যু্বক হলেন মেহরাজ হোসেন চৌধুরী (২০) ও শাহরিয়ার হোসেন সাব্বির (২০)।

ওসি জানান, জোনায়েদ নামের এক প্রবাসী কিছুদিন আগে দেশে ফিরে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় সুজুকি জিক্সার ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল কেনেন। বিদেশে ফিরে যাওয়ার আগে কিছুদিন আগে তিনি ‘সেল বাজার ডটকম’ নামে একটি ওয়েবসাইটে সেটি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। এ সময় ভুয়া আইডি থেকে মেহরাজ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাইকটি কেনার আগ্রহ দেখান।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুই জনের আলাপচারিতায় ১৩ ডিসেম্বর বালুছড়া বাজারে বাইকটি দেখানোর কথা হয়। কথা অনুযায়ী ওই দিন বিকেলে মেহরাজ ‘কিনতে’ আসা সেই বাইক চালিয়ে দেখার কথা বলে উধাও হয়ে যান।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও ফিরে না আসায় অবশেষে জোনায়েদ বায়েজিদ থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, চুরির ১৪ দিন পর গত রোববার মিরসরাই উপজেলা থেকে মেহরাজ ও সাব্বিরকে গ্রেপ্তারের পর উদ্ধার করা হয় মোটরসাইকেলটি।
চুরির কৌশল বর্ণনা দিয়ে ওসি বলেন, ভুয়া ছবি ও তথ্য দিয়ে মেহরাজ একটি ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন অনলাইন শপ মার্কেটে নজর রাখেন। সেল বাজার ডটকমে একটি বাইক পছন্দ হওয়ায় সে বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মোবাইল এবং ম্যাসেঞ্জারে কয়েক দিন যোগাযোগের পর বাইকটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সেটি দেখার দিনক্ষণ ঠিক করে।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, মেহরাজ যে মোবাইল নম্বর থেকে মোটরসাইকেল বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সেটিও অন্যের নামে নিবন্ধন করা।

ওই বিক্রেতা বিশ্বাস করে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেখতে দিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানান।

ওসি জানান, মেহরাজ ও সাব্বির দুজনই বাইকটি দেখতে এসেছিলেন। মেহরাজ কথা বলার সময় সাব্বির দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। চালিয়ে দেখার কথা বলে মোটরসাইকেলটি তাঁরা সরাসরি মিরসরাই নিয়ে যান।

এর আগে ফেনীতেও তাঁরা একই ধরনের প্রতারণা করে মোটরসাইকেল চুরি করেছিলেন। এ মামলায় তাঁরা জেলও খেটেছেন বলে জানান পুলিশকে।