চাঁদপুরে ব্যবসায়ী আবুল বাসার (৩৮) হত্যা মামলার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যা মামলার মূল আসামি মো. সালেহ মুছাকেও (২৩) গ্রেপ্তার করেছে।

ব্যবসায়ী আবুল বাসারের চাঁদপুরের কচুয়া থানার কচুয়া বাজারে পশু হাসপাতালের সামনে একটি মুদি ও বিকাশের দোকান ছিল।

জেলা পুলিশ জানায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার সিঙ্গুলা থেকে ৩ এপ্রিল (রোববার) আবুল বাসারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর স্ত্রী মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, আসামি মো. সালেহ মুছা মাছের আড়তের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক কারণেই বাসারের সঙ্গে সালেহের পরিচয় হয়। এরপর ব্যবসায়িক কারণে সালেহ বিভিন্ন সময়ে বাসারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা নেন। বাসার এই টাকা ফেরত চাইলে সালেহ তাঁকে ঘোরাতে থাকেন। ২ এপ্রিল সকালে বাসার ও সালেহের মধ্যে কথা-কাটাকাটিও হয় এ নিয়ে। এরপর বাসারকে ফোন করে বিশ্বরোড এলাকায় যেতে বলেন সালেহ। বাসার সেখানে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন।

আসামি সালেহ মুছাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সালেহ মুছা ও তাঁর সহযোগীরা মোটরসাইকেলে করে বাসারকে মাছের আড়তের গুদামঘরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে জবাই করে হত্যা করেন। এরপর অজ্ঞাতনামা পিকআপ ভ্যানে করে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার সিঙ্গুলায় বস্তাবন্দি লাশটি পানিতে ফেলে আসেন। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি সালেহ মুছার অবস্থান শনাক্ত করে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে সালেহ আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করেন। এরপর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।