সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিআইডির সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: ঢাকা টাইমস

চাঁদপুরে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে (সিআইডি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রাজু চন্দ্র শীল।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর। খবর ঢাকা টাইমসের।

মুক্তাধর বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের শহরের বিপণীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুম থেকে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ বিভিন্ন দোকানে দই-মিষ্টি বিক্রি করে আসছিলেন। ১৫ সেপ্টেম্বর পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি রাজুর কাছে যান।

বিপণীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী ইসমাইল বকাউলের বরাত দিয়ে মুক্তাধর বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজুকে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তখন রাজুর কাছে দোকান পরিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে তিনি নৈশপ্রহরী ইসমাইলকে বলেন, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে তিনি দোকান পরিষ্কার করে পুরোনো জামাকাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজু ওই বস্তা বিপণীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরিফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশে গলির ভেতরে ফেলে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওই বস্তা ফেলে রাজু আবারও দোকানে ফিরে আসেন। এরপর রাজু পানি দিয়ে ওই সেলুন পরিষ্কার করতে থাকেন। কিন্তু সেলুন থেকে লাশ পাওয়ার জায়গা পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়। পরে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনলে তিনি দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্তমাখা পানি দেখতে পান। এ ছাড়া সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝেতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়। ওই ঘটনার পর পালিয়ে যান রাজু চন্দ্র শীল।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাধর বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হলে তা সিআইডির নজরে আসে। পরে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এরপর মুক্তাধরের নির্দেশনায় রাজুকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয় অভিযান। পরে সিলেট শহর থেকে অভিযুক্ত রাজুকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে।

রাজু সিআইডিকে জানিয়েছেন, টাকা লেনদেনের কারণে তিনি নারায়ণকে হত্যা করেছেন। তবে কত টাকার লেনদেন ছিল, সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।