নৌ পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার পাঁচ জলদস্যু। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চাঁদপুর অঞ্চলের মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাঁচ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে। এই তথ্য ১২ আগস্ট (শুক্রবার) জানিয়েছে নৌ পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম মো. আক্তার হোসেন (৩০), মো. ইকবাল মুন্সী ওরফে সুমন (২৮), মো. আবুল বাশার (২২), মো. শাকিল দেওয়ান (২১) ও মো. ইয়ামিন (১৯)। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, সাতটি গুলি, একটি স্পিডবোট, বিভিন্ন মডেলের ২০টি মুঠোফোন, আটটি দেশীয় রামদা, একটি দেশীয় দা, একটি স্ক্রু ড্রাইভার, পাঁচটি খালি তেলের ড্রাম এবং ১০ লিটার পেট্রল জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানে জব্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিস। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নৌ পুলিশ জানায়, জলদস্যুতা রোধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকার পদ্মা নদীতে নৌ টহল ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদ পেয়ে নৌ পুলিশের টহল দলটি জাজিরা থানার পালেরচর এলাকায় যায়। সেখানে তারা ১২-১৩ জন জলদস্যুকে স্পিডবোটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিতে দেখে। নৌ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি ছোড়ে। নৌ পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জলদস্যুর দল মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার পদ্মা নদীর ডহুরী খালের দিকে স্পিডবোট নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। নৌ পুলিশ সদস্যরাও স্পিডবোটে ধাওয়া করে আক্তার, ইকবাল, আবুল বাশার, শাকিল ও ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি জলদস্যুদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

অভিযান প্রসঙ্গে নৌ পুলিশের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, ‘নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে নৌ পুলিশের প্রতিটি অঞ্চল কাজ করছে। নৌপথে নৌ সন্ত্রাস দমন না হওয়া পর্যন্ত নৌ পুলিশের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’