পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পঁচাত্তরের কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ওপর চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল, তখন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব স্মৃতিচারণা করেন তিনি।

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৩ জানুয়ারি (রোববার) সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে পূর্বসূরিদের ঐতিহ্য ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়ার জন্যও পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজারবাগে প্রথম পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘এই রাজারবাগে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের কথা মনে রাখতে হবে। তাঁরা আপনাদেরই ভাই, তাঁদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।’

পঁচাত্তরের বিয়োগান্ত ঘটনা স্মরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুলিতে আহত ছিলেন আমার ফুফু এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সাহেবের ছেলে, স্ত্রীসহ আমার ফুফাতো ভাই ও বোনেরা। যখন এই খুনিরা আক্রমণ করে চলে যায়, তখন রমনা থানা থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে আহত-নিহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। শুধুমাত্র পুলিশের এই সাহসী ভূমিকায় আমার ফুফু বেঁচে ছিলেন। তিনি পঙ্গু অবস্থায় বাকি জীবন কাটান। আমার দুই ফুফাতো বোন এবং ভাই বেঁচে যান।’

বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে হামলায় বাধা দিতে গিয়ে গুলিতে নিহত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসপি সিদ্দিকুর রহমানকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ছয় বছর তিনি ছোট বোন শেখ রেহানাসহ রিফিউজি জীবন কাটাতে বাধ্য হন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে সভাপতি নির্বাচন করায় দেশে ফেরেন তিনি। তখন জাতির পিতার খুনিরা ক্ষমতায়, তথাপি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে একরকম জোর করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।