সিএমপির হালিশহর থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার এবং পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হালিশহর থানা-পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জিত কুমার রায় (৫০)।পাহাড়তলী থানা এলাকায় অলংকার শপিং কমপ্লেক্সে তাঁর একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে।

ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির নাম মো. আমিনুল ইসলাম, মো. নুরুল ইসলাম, মো. সেলিম, আয়েশা আক্তার ওরফে ফিরোজা এবং রেহেনা আক্তার মীম।

সিএমপি জানায়, দুজন নারী ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) সঞ্জিত কুমার রায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিছু স্বর্ণালংকার বিক্রি করবে বলে জানিয়ে তাঁর মুঠোফোন নম্বর যায়। পরদিন সঞ্জিতকে ফোন করে পরিচয় দিয়ে স্বর্ণালংকার বিক্রির কথা বলেন তারা। সঞ্জিত অলঙ্কার কিনতে রাজি হলে তাঁকে হালিশহর থানার নয়াবাজার মোড়ে যেতে বলেন। তিনি সেখানে গেলে দুই ব্যক্তি চাকু দেখিয়ে তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যায়। পরে সঞ্জিতকে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে আটকে রেখে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে সঞ্জিত ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেবেন বলে রাজি হন। এরপর তাঁর মুঠোফোন থেকে তাঁকে দিয়েই তাঁর দোকানের পাশের ব্যবসায়ী শংকর দেবকে ফোন করানো হয়। শংকরকে টাকা নিয়ে দ্রুত পাহাড়তলী থানার অলংকার শপিং কমপ্লেক্সের নিচে আলিফ হোটেলের সামনে যেতে বলা হয়। সঞ্জিতের কথায় শংকরের সন্দেহ হলে তিনি সঞ্জিতের ভাইকে ফোন করেন। পরে সঞ্জিতের ভাই ও শংকর দেব হালিশহর থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানান।

এরপর ২৯ অক্টোবর হালিশহর থানা-পুলিশের একটি দল ২৯ অক্টোবর (শনিবার) অলংকার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে হালিশহর থানার পানিরকল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় নুরুল, সেলিম, আয়েশা ও রেহেনাকে। এ সময় তাদের হাতে আটক সঞ্জিতকে উদ্ধার করে পুলিশ।