চট্টগ্রামে কাভার্ড ভ্যান থেকে মালামাল চুরির অন্যতম রুট হয়ে উঠেছে বন্দর ফ্লাইওভার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে কাভার্ড ভ্যান থেকে মালামাল চুরির কিছু অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ চুরির সঙ্গে জড়িত অন্তত তিনটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে। পাশাপাশি চুরির কৌশল জানতে পেরেছে। কয়েকজন ধরাও পড়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে কাভার্ড ভ্যান থেকে মালামাল চুরির অন্যতম রুট হয়ে উঠেছে বন্দর ফ্লাইওভার; যেখানে সুযোগ পেলেই চলন্ত গাড়ি থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য সরিয়ে ফেলছে কয়েকটি চক্র।

ফ্লাইওভারের মুখে গাড়ির গতি ধীর হওয়ার অপেক্ষায় থাকা চোর চক্র মুহূর্তের মধ্যেই ভ্যানের পেছনে উঠে বসে; ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তালা ভেঙে পণ্য ফেলে দেয় নিচে।

চক্রগুলোর কয়েকজন সদস্য ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে বলে জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বন্দর) নোবেল চাকমা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

চুরির কৌশলের বিষয়ে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, চক্রটির কিছু সদস্য ফ্লাইওভারের ওপরে, কেউ নিচে অবস্থান নেন। আর একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ফ্লাইওভারে গাড়ির পরিস্থিতি এবং পুলিশি টহলের বিষয়গুলো নজরদারি করেন। পরিস্থিতি বুঝে অন্যদের সংকেত দিলেই তাঁরা চুরির প্রস্তুতি নেন। আবার তাঁদের মধ্যে কেউ ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান করেন।

গত ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মো. রাজা নামে এক কাভার্ড ভ্যান চালকের সহকারীর করা একটি মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস নামে একটি ওষুধ কোম্পানির জন্য আমদানি করা ১৩ প্লেট পিভিসি রোল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গাজীপুরে যাচ্ছিল তাদের কাভার্ড ভ্যান।

ভ্যানটি ফ্লাইওভার দিয়ে নামার সময় বন্দর দক্ষিণ আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন স্থানে দরজার তালা ভেঙে দুই কার্টন পিভিসি রোল নিয়ে যায়। পেছন থেকে একজন দৌড়ে পালানোর সময় চালক লুকিং গ্লাসে দেখতে পান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এদিকে গত ১৩ ডিসেম্বরের চুরির ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে চোর চক্রের কয়েক সদস্য। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে চোরাই মালামালের ক্রেতা এক ব্যবসায়ীকে।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এডিসি নোবেল জানান, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ওবায়দুল্লাহ ও কালা মনির সরাসরি চুরির সঙ্গে জড়িত। আর অটোরিকশার চালক নাজিম চুরির আগে ফ্লাইওভার এলাকায় নজরদারি করে।