বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর অবস্থান। আজ সকালে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ ভারতের উড়িষ্যার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলে এর আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। খবর বাসসের।

আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলের সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. খন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, গুলাব বাংলাদেশের উপকূলে তেমন প্রভাব অথবা আঘাত হানার আশঙ্কা নেই।
তিনি জানান, এর প্রভাবে উপকূলে দমকা হাওয়াসহ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এবং আশপাশের পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকালে একই এলাকায় (১৮ দশমিক ৪০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭ দশমিক ২০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছিল এবং এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।