গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত অবকাঠামোর নিচে চাপা পড়েছে অনেকে। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৩৫। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭৭ হাজার ৭০৪ জন। আশঙ্কার বিষয় হলো, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর গাজায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিগত প্রায় সাত মাসে অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা অনুমান করছি, (ইসরায়েলি) আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ধ্বংস হওয়া শত শত বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজার জনের বেশি ফিলিস্তিনি চাপা পড়েছে, যারা নিখোঁজ।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নিখোঁজ ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়। অতএব, শহীদের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে অঞ্চলটিতে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ৩৪ হাজার ৫৩৫ জন। এই সময়ে আহত হয়েছে অন্তত ৭৭ হাজার ৭০৪ জন।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হোক বা না হোক, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফাহে স্থল অভিযান চালাবে। গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহু এ ঘোষণা দেন। হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের পরিবারগুলোর উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনের আগেই যুদ্ধ বন্ধ করে দেব—এই ধারণা প্রশ্নাতীত। গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হোক বা না হোক, আমরা রাফাহে প্রবেশ করব এবং সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য সেখানে হামাসের ব্যাটালিয়নগুলো নির্মূল করব।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা