ঢাকা আশপাশের পাঁচটি জেলার ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনা নিয়ে গণশুনানি ও অংশীজন সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি: পুলিশ নিউজ

ঢাকা মহানগরীসহ আশপাশের পাঁচটি জেলার ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনা নিয়ে শুক্রবার গণশুনানি ও অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সবার মতামত গ্রহণ করেন।

ওই সভায় ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জোরালো ও যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করেন।

১. সংশ্লিষ্ট সব ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে অবশ্যই সমন্বয় করে ট্রাফিকসংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. DTCA ও সিটি করপোরেশনসহ সব সংস্থার ট্রাফিকসংক্রান্ত সব প্রকল্পের পরিচালক, সহকারী প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক পদে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রকল্পের পরিধি ও পরিসর অনুযায়ী এক বা একাধিক পদে দায়িত্ব দিতে হবে।

৩. ইমারত প্রকল্পসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।

৪. ট্রাফিকসংক্রান্ত যেকোনো নীতিমালা, নির্দেশিকা প্রস্তুত করতে হলে অবশ্যই ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে লিখিতভাবে মতামত জানিয়ে লিখিতভাবে মতামত গ্রহণ করতে হবে।

৫. আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল ও ব্যবস্থাপনায় Adaptive Traffic Control System এবং ITS সংযোজনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিএমপির ট্রাফিক কারিগরি ইউনিটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. বিদ্যমান ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের গুরুত্ব তুলে ধরে গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পরিকল্পনা কমিশন, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, হাতিরঝিল, বেড়িবাঁধ বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল যেন জনগণ পুরোপুরি ভোগ করতে পারে, সে জন্য সব সংস্থাকে নিয়মিত ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের সঙ্গে সুসমন্বয় রাখতে অনুরোধ করা হয়।