খুলনার দৌলতপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আয়োজনে রোববার কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং সভার খণ্ডচিত্র। কোলাজ: পুলিশ নিউজ

খুলনার দৌলতপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আয়োজনে দৌলতপুর মহসীন মোড় রেলগেট এলাকায় কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় খুলনা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো. রবিউল হাসান বলেন, ‘সম্প্রতি সারা দেশে নাশকতা ও চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতা দেখা যাওয়ায় নাশকতা ও পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে খুলনা রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নাশকতা ও চলন্ত ট্রেনে অসচেতনতার ফলে পাথর নিক্ষেপের ফলে অনেক সময় ট্রেন যাত্রী আহত হন এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি সাধিত হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কেউ মজাচ্ছলে বা খেলাচ্ছলে পাথর নিক্ষেপ করে থাকে, কিন্তু এতে অনেক সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা সংঘটিত হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনা মানে সারা জীবনের কান্না। এই দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তি আমাদের যেকোনো কারও পরিবারের সদস্য হতে পারে, হতে পারে কারও মা, হতে পারে কারও বাবা, হতে পারে কারও ভাই-বোন, কারও সন্তান। এতে একটি পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে।’

রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি অপরাধ। এই আইনে প্রথমত, ১৮৯০ সালের বাংলাদেশ রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য যাবজ্জীবন জেল অথবা ১০ বৎসর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়ত, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাথর নিক্ষেপে রেলযাত্রীর মৃত্যুর কারণ হলে এবং তা প্রমাণিত হলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তদুপরি জরিমানার বিধান রয়েছে। তৃতীয়ত, ১৮৯০ সনের রেলওয়ে আইন অনুয়ায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের অপরাধের ক্ষেত্রে অভিভাবকের শাস্তির বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপরাধীকে শনাক্ত করে মামলা রুজু করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

সভায় সরকারি বিএল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শামীম, দৌলতপুরের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মুনিরা আক্তার, দৌলতপুর বাজার কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আসাদ, দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাসসহ আরও অনেকে উপস্থিত থেকে তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য দেন।