কোম্পানীগঞ্জে গরু চোর চক্রের প্রধানসহ গ্ৰেপ্তার হওয়া চারজন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

গত কিছুদিন ধরে কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকায় বেশ কিছু গরু চুরি হয়। এসব চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেটকে সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে পুলিশী তৎপরতা জোরদার করা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় চারটি গরু চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় চরপার্বতী ইউনিয়নের কে.টি.এম.হাট থেকে আসামী আবদুল মোতালেব লিটন (৩০) ও রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা জনায় যে, তাদের সঙ্গী আসামী মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মো. সেলিম (৪৩) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় অবস্থান করছে।

এ খবরের ভিত্তিতে এসআই আল -আমিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তায় নিজাম উদ্দিন এবং সেলিমকে গ্ৰেপ্তার করে এবং তাদের হেফাজতে থাকা একটি হলুদ রংয়ের পিক-আপ গাড়ী, একটি তালা কাটার যন্ত্র, ০২টি রাবার ম্যাট জব্দ করা হয়।

এর আগে কোম্পানিগঞ্জ থানায় চারটি গরু চুরির ঘটনায় মামলা হয়। নিজাম উদ্দিন এবং সেলিমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা জানান যে, চারটি গরুর মধ্যে দুটি গরু তারা ফেনী জেলার সোনাগাজী থানা এলাকায় মো. নূর আলমের (৪৫) কাছে বিক্রি করে। এ সংবাদের ভিত্তিতে সোনাগাজী থানা পুলিশের সহায়তায় এসআই আল-আমিন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় সোনাগাজী থানা এলাকায় থেকে নূর আলমের কাছ থেকে দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করেন।

এর আগে ওই মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামী খোকনকে (৩৫), ১টি নীল রংয়ের পিকআপ ভ্যান, ০১টি তালা কাটার যন্ত্র, ২টি মোটরসাইকেল, ৩টি রাবার ম্যাট এবং চোরাইকৃত গরু বিক্রির নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ গ্ৰেপ্তার করা হয়।

আসামি নিজামী ওরফে নিজাম ডাকাতের বিরুদ্ধে ১৫টিসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।