পুলিশি হেফাজতে ডাকাত দলের ৯ সদস্য। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র ও টাকা জব্দ এবং লুণ্ঠিত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) জানান, কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দ করা দেশীয় অস্ত্র, টাকা ও মোবাইল ফোন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিরা হলেন সাগর গাজী ওরফে শাওন (২৫), রুবেল (২৫), রাজিব (৩০), শ্রাবণ (২২), ফাহিম (২২), আরিয়ান (২৩), হিমেল (২৩), হারুন (৩৮) ও শাওন (২৩)।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঝিলমিল আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুজন সরদারকে (৩০) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে একদল ডাকাত। এ সময় সুজনকে মারধর করে তাঁর কাছে থাকা টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার হুমকি দেন ডাকাতরা। এরপর সুজনকে প্রতিবেশী জাকির মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান ডাকাতরা। রাত সোয়া ২টার দিকে সুজনের ডাকে দরজা খোলেন প্রতিবেশী জাকির। সঙ্গে সঙ্গে জাকিরকে ধাক্কা মেরে রামদা দিয়ে আঘাত করেন ডাকাতরা। এরপর বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেন তাঁরা। পরে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায়
জাকির অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম অ্যান্ড অপস (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এবং কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীর বিপিএম-এর নেতৃত্বে একটি দল তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের অবস্থান শনাক্তে সক্ষম হয়। পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একটি দল কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা জানান, গত ৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের সাউথটাউন এলাকার মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে মাওয়া থেকে ঢাকাগামী দুটি গাড়িতে ডাকাতি করেন। এ ছাড়া গত ২০ ডিসেম্বর ঝিলমিল এলাকায় দুজন চীনা নাগরিকসহ চারজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করেন।

ডাকাতরা আরও জানান, শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা বাড়তে থাকায় গত কিছু দিন ধরে বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতি করেছেন। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের নিমতলী এবং ঢাকা-কুমিল্লা হাইওয়ের গজারিয়া, মেঘনা ও দাউদকান্দি এলাকায় ডাকাতির কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আসামিরা।

গ্রেপ্তার ডাকাতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।