ঢাকার কেরানীগঞ্জের দুটি থানায় হওয়া চার মামলায় গ্রেপ্তার আসামি, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার, দেশীয় অস্ত্র্র ও ঢাকা জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন। কোলাজ: পুলিশ নিউজ

ঢাকার কেরানীগঞ্জের দুই থানায় হওয়া ডাকাতির চার মামলায় ‘মাস্টার গ্রুপের’ ইলিয়াস মাস্টারসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জানায়, শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা বাড়ার সঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহে দুর্ধর্ষ একদল ডাকাত কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন বলসুতা ও অভ্রখোলা এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বাস্তা ইউনিয়নের বিভিন্ন নির্জন এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতি করে আসছিল। সব কটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতেরা খোলা বিল/চকের পাশে অবস্থিত প্রায় একই ধরনের বাড়িকে টার্গেট করেন এবং একই পদ্ধতিতে ডাকাতি করেন। সশস্ত্র এ ডাকাত দল গভীর রাতে বাড়ির গ্রিল কেটে ঢুকে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে ফেলেন। বাড়ির পুরুষ সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং নারীদের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন। তারপর ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা মুহূর্তের মধ্যে বাড়ির আলমারি, শোকেসসহ সবকিছু ভেঙে তছনছ করে মূল্যবান স্বর্ণালংকার, টাকা ও দামি কাপড়, এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত খুলে নিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্ধর্ষ এসব ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেন ডাকাত দলের সর্দার, যাঁকে ডাকাত দলের সদস্যরা ‘মাস্টার’ বলে সম্বোধন করেন। পুলিশ ডাকাতির ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় এবং এসব ডাকাতির ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ডাকাতির তিনটি মামলা হয়। এসব মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর ও ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সর্দার ‘মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত কুখ্যাত ডাকাত ইলিয়াস (৪৮) ওরফে মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর বাইরে ডাকাত দলের আরও ৯ সদস্য শাহিন ওরফে ভাগিনা (২৮), সোহেল (৪০), বাবুল (২৪), আসাদ (৪৩), রাশেদুল ওরফে বিটু (৩০), ওহাব ওরফে নানা (৬২), সামাদ (৫০), দীপু (২০) ও মকবুল ওরফে মঙ্গলকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানকালে ডাকাতদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্য মালপত্র উদ্ধার করা হয়।