পুলিশি হেফাজতে তিন আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিনটি চোরাই স্বর্ণের চেইন, ২৪ হাজার টাকাসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে খানজাহান আলী থানা-পুলিশের অভিযানে ১৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধার করা স্বর্ণালংকার ও টাকা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম বিপিএম জানান, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বর্ণালংকারসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার রনি শেখ (২২), রূপসা থানা এলাকার মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (২২) ও মো. জুম্মান মোল্লা (২২)। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ২৫ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা মেইন রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনটি স্বর্ণের চেইন ও একটি আংটি এবং ৫০ হাজার টাকা চুরি যায়। এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। তদন্তের একপর্যায়ে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে আসামি রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি স্বর্ণের চেইন ও ৪ হাজার ৩৬২ টাকা। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকাসহ আসামি রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামি জুম্মানকে একটি স্বর্ণের চেইন ও ১০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গাঁজাসহ গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আসামি তানভীরসহ আরও দু-তিনজন এ ঘটনায় জড়িত। অবশিষ্ট চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধারের পাশাপাশি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম বিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, আরেক অভিযানে খানজাহান আলী থানা-পুলিশ ১৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হলেন খুলনার দৌলতপুর থানা এলাকার সালমা বেগম (২৬) এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর থানা এলাকার মো. মোর্শিদ মিয়া (২৫)। সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী।

তিনি জানান, খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি উত্তরপাড়ার একটি বাড়ি থেকে ৮০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যে মীরেরডাঙ্গা রংমিল রোডের একটি বাড়ি থেকে আরও ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় মামলা করা হয়েছে।