কুড়িগ্রামে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী সেমিনারের সমাপণী অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

কুড়িগ্রামে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী সেমিনার শেষ হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সেমিনারটি শেষ হয়।

পাঁচ দিনের এই সেমিনার শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর। কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার শেখ রাসেল পৌর অডিটরিয়ামে সিটিটিসির উদ্যোগে শুরু হওয়া উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদবিরোধী পাঁচ দিনব্যাপী সেমিনারের প্রথম দিনে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দ্বিতীয় দিনে গ্রাম পুলিশ/দফাদার চৌকিদার, তৃতীয় দিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধি, চতুর্থ দিনে মসজিদের ইমাম/খতিব, মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষক এবং বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

পঞ্চম দিনের সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিদের একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ছাত্র, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ভূমিকাবিষয়ক পঞ্চম দিনের সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। সেমিনারে কুড়িগ্রাম জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী সেমিনারে সিটিটিসি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল আরাফাত লেনিন উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদবিরোধী ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে আলেম সমাজের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম সেমিনারে উপস্থিত সব শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের নাগরিকদের নিজ নিজ স্থানে সচেতন থাকার অনুরোধ করেন, কেউ যেন ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে দেশে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে সবাইকে সচেতন করার অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাবাদ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার মাধ্যমে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং কোনো অপশক্তি যাতে দেশে উগ্রবাদ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে ব্যাপারে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বেগবান হয়ে কাজ করতে হবে এবং কেউ উগ্রবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তাকে শনাক্ত করতে জেলা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করার আহবান জানান।

সেমিনারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সেমিনারে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিসহ সকল শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের নিজ নিজ অবস্থানে সতর্ক থেকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে এক হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।