কুড়িগ্রাম সদরে ভুয়া গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জামালপুর জেলার সদর থানা এলাকা থেকে ২০ ডিসেম্বর (বুধবার) দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের নাম মো. নাজমুল ইসলাম (২৮) ও মো. ইমরান হোসেন (২৩)।
জেলা পুলিশ জানায়, কুড়িগ্রাম সদর থানার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মো. ইউনুছ আলী (৩৬) মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। পথে চার ব্যক্তি তাঁকে থামার সংকেত দেন। ইউনুছ মোটরসাইকেল থামালে ওই চার ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেন। এরপর তাঁরা ইউনুছের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল ও তাঁর কাছে থাকা চেকবইয়ের পাতা জব্দ করার কথা বলে নিয়ে চলে যান। এরপর ইউনুছ কুড়িগ্রাম থানায় গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর মোটরসাইকেল সেখানে নেই।
পরে ইউনুছের মোবাইল থেকে পরিচিত একজনের নম্বরে কল করে আসামিরা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ইউনুছকে রংপুর কোতোয়ালি থানায় যেতে বলে। ইউনুছ রংপুর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এদিকে কুড়িগ্রাম থানা-পুলিশ উক্ত সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার অনুসন্ধান করতে থাকে। পরে কুড়িগ্রাম থানার একটি দল ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জামালপুর সদর থানার পশ্চিম ফুলবাড়িয়া (কদমতলা) এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও ইমরানকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ইউনুছের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর একটি আইডি কার্ড, সেনাবাহিনীর একটি শীতের জ্যাকেট ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমীন বলেন, গ্রেপ্তার আসামী দুজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয় দিয়ে অপরাধ করে আসছিল। কুড়িগ্রাম জেলায় এ ঘটনা ঘটিয়ে জামালপুর জেলায় আত্মগোপনে ছিলেন তাঁরা। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের দুদিনের নিরলস অভিযানে ছিনতাই হওয়া মালামালসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।