চোরাই মালামালসহ চোর চক্রের গ্রেপ্তার ৩ সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ভাড়াটে বা এনজিও কর্মী সেজে বিভিন্ন বাসায় চুরি করতেন তিনি। চোরাই মালামাল উদ্ধার, দুই সহযোগীসহ মূল হোতাকে রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন মূল হোতা মো. রাজু আহম্মেদ (৩৮) তাঁর দুই সহযোগী মো. সাজু মিয়া (৫০) ও মো. আলম মিয়া (৩৮)।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার রাজু জেলার চিলমারী থানা এলাকায় বাসার ভাড়াটে হিসেবে থেকে গত ২ মে কৌশলে বাসার মালামাল চুরি করেন। এ ঘটনায় চিলমারী থানায় গত ২৬ মে একটি চুরি মামলা হয়।

মামলা রুজুর পর থেকে বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে চিলমারী থানা পুলিশ এবং চুরির সাথে জড়িত মূল হোতাকে শনাক্ত করে। জানা যায়, চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তি চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। পরে বিভিন্নভাবে কৌশলে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করে গত ২৯ আগস্ট ভোর আনুমানিক ৪টায় চিলমারী থানার একটি চৌকস টিম রাজশাহী জেলার গোদাগারী থানা এলাকা থেকে কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহযোগিতায় নওগাঁ সদরের আনন্দ নগর এলাকার মো. রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, তাঁর ২ জন সহযোগী চিলমারী রমনা গুড়াতিপাড়ার মো. সাজু মিয়া ও মো. আলম মিয়াকে চোরাই বাইসাইকেল ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, গ্রেপ্তার চোর রাজু বিভিন্ন স্থানে এনজিও কর্মী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বাসার মালিকের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাসার বিভিন্ন মালামাল চুরি করে পালিয়ে যেতেন।

তিনি বলেন, নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে অপরাধ দমনে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করি।