কুড়িগ্রামে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের উদ্যোগে শুরু হলো উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদবিরোধী পাঁচ দিনের সেমিনার। আজ রোববার কুড়িগ্রামের শেখ রাসেল পৌর অডিটরিয়া পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

সেমিনারের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।

প্রথমে দিনের সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল আরাফাত লেলিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আনসারের ভারপ্রাপ্ত এডজুটেন্ট মো. ইবনুল হক, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সাইফুল ইসলাম।

সেমিনারে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল আরাফাত লেলিন উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদবিরোধী ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জনসচেতনতামূলক এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট ও কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান এবং পুলিশ বিভাগসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষক-ছাত্রসহ সব সন্মানিত নাগরিকদের সচেতন হয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ করে তিনি বলেন, কেউ যাতে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে ব্যাপারে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বেগবান হয়ে কাজ করতে হবে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের উদ্যোগে শুরু হওয়া উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদবিরোধী ৫ দিনব্যাপী সেমিনার কুড়িগ্রাম জেলায় আয়োজনের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

সেমিনারের প্রথম দিনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ জেলা কারাগার ও জেলা আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।