সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য নাগরিকদের দোরগোড়ায় কম সময়ে, বিনাখরচে, কম ভিজিটে পুলিশি সেবা পৌছে দেয়ার জন্য সকল অংশীজনের সমন্বয়ে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পুলিশের উদ্ভাবনী প্রয়াসে আয়োজিত হলো ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’। এখানে নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যা মনোযোগের সাথে শোনেন ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনবৃন্দ।

উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অফিসারবৃন্দ সেবাপ্রার্থীদের বক্তব্য শুনে কার্যকর ব্যবস্থা ও ন্যায্যতার জন্য তাৎক্ষণিক প্রসিকিউশন বা জিডি গ্রহণের উদ্যোগ নেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী অফিসসমূহে সেবা প্রার্থীদের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য রেফার করেন।

গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা হলরুমে ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কচাকাটা থানা এলাকা থেকে আসা প্রায় ২০০ জন নাগরিক ও সেবা প্রার্থীর বক্তব্য শোনেন ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকে’ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অফিসারবৃন্দ।

নাগরিকদের ফৌজদারি সমস্যা শনাক্ত ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকে’ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক (প্রশাসন) (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট শেখ মো. মুজাহিদ উল ইসলাম ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর কবির শিপন। এ সময় বিশেষজ্ঞ প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম ফেরদৌস, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মোছা. শারমিন আক্তার, নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজা, ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মো. মোর্শেদুল হাসান পিপিএম, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সবাজসেবা অফিসার মো. শামছুজ্জামান, ভূরুঙ্গামারী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তী রাণী ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।

নাগরিক সেবায় পুলিশের এই উদ্ভাবনী সম্মিলিত উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট পুলিশ অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন।