কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলার রহস্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এ মামলার নয় আসামির মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানা-পুলিশ এই দারুন সাফল্য দেখিয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম বকুল (৫৫), সোহেল (৫০), হেলিম (২৫), সুলতানা (৪০) ও ফিরুজা (৪৮)।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গত ১৪ এপ্রিল লিয়ন (২০) নামের এক যুবক করিমগঞ্জ থানার সাদকখালী চৌরাস্তা বাজারের ব্যবসায়ী শরীফের (২৮) দোকান থেকে কিছু মালামাল কেনেন। বাড়ি ফেরার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁজে না পেয়ে তিনি শরীফের দোকানে ফিরে যান। সে সময় মোবাইল নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় লিয়ন এবং তাঁর দুই সঙ্গী রিয়াদ (১৯) ও রাসেলের (২৮) সঙ্গে শরীফের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে ১৬ এপ্রিল রাত সোয়া ৯টার দিকে লিয়ন অন্যান্য আসামীদের নিয়ে শরীফের দোকানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এরপর শরীফকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর ১৭ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তসহ ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। এরপর ওই দিনই নিহত শরীফের বাবা মো. আলী আকবর বাদী হয়ে নয়জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পড়ে করিমগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জয়নাল আবেদীনের ওপর। এদিকে ঘটনার পর থেকে চলমান অভিযানে ১৭ এপ্রিল পর্যপন্ত এজাহারনামীয় নয়জন আসামীর মধ্যে পাঁচজনকে করিমগঞ্জ ও সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।