পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ৭ বছর বয়সী একটি কন্যাশিশু ১৩ এপ্রিল নিখোঁজ হয়। কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে দুদিন পর থানায় জিডি করে পরিবার। কিন্তু কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে কানের দুলের সূত্র ধরে দুদিনের মধ্যে এই মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বেরিয়ে আসে রোমহর্ষ এক ঘটনা। জানা যায়, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে আসামি। তারপর মাটিচাপা দিয়ে সেই লাশ গুম করেছে সে।

শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রোকন (২৫) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ১৩ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। কোথায় খুঁজে না পেয়ে পরিবার দুদিন পর ১৫ এপ্রিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এরপর থানা-পুলিশ নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পাশাপাশি বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পেছনে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টাও চলতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, শিশুটির প্রতিবেশী রোকন একটি স্বর্ণের দোকানে এক জোড়া কানের দুল বিক্রি করতে গিয়েছিল।

এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রোকনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রোকন জানায়, ১৩ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে গাছ থেকে আম পেড়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কৌশলে তাকে অপহরণ করে রোকন। এরপর তাকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একটি নির্জন জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। এ সময় শিশুটি অচেতন হয়ে পড়লে শিশুটির পরনের কাপড় তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ গুম করতে জঙ্গলের পাশে বালুর মধ্যে মরদেহ পুঁতে রাখে। এরপর শিশুটির কানের দুল একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করতে গিয়েছিল রোকন।

আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ১৭ এপ্রিল (সোমবার) দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরে শিশুটির কানের দুলও উদ্ধার করা হয়। আসামি রোকন শিশুটির কানের দুল ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছিল।