মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ ২৬) নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের সময় জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নৈতিক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। খবর বাসসের।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) লন্ডন থেকে এক ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ফোরামে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৈতিক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮টি দেশের গ্রুপ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতৃত্ব দিয়ে কপ ২৬-এর ফলাফল প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হয়ে উঠেছেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা অনেক আশ্বাস পেয়েছি জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়ার বিষয়ে। আমি কপ ২৬-এর ফলাফল সম্পর্কে খুব আশাবাদী।’

ইতিমধ্যে ৩৭টি দেশ বাংলাদেশের মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তাদের জাতীয় পরিকল্পনা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের একটি অর্জন।

প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু তহবিল সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে তহবিলের জন্য একটি লাইনআপ তৈরি করেছে। বেসরকারি খাতের সহায়তায় এই তহবিল ট্রিলিয়ন ডলারও হতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৪৮ দেশের সিভিএফ নেতাদের সংলাপের পরে ঢাকা-গ্লাসগো ঘোষণা গৃহীত হয়েছে। কপ ২৬ সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বরিসকে উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অন্যদের বাংলাদেশকে অনুসরণ করা উচিত।’

মোমেন বলেন, বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি কীভাবে উদযাপন করবে, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স অব ওয়ালেস প্রিন্স চার্লসের মধ্যকার বৈঠকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছে।

মোমেন বলেন, লন্ডনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ উদ্বোধন করেন, যেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের অনেক লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার অংশীদার হতে আমন্ত্রণ জানান।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অংশীদারত্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানান।